নিজস্ব প্রতিনিধি
কিছুদিন যাবত বয়কট সব্দটা বেশি শোনা যাচ্ছে, গত দুই বছর আগে এই বয়কটের ফলে অনেক তরমুজ চাষি দেনার দায়ে আত্ম হত্যা করে ছিলো। তাদের মৃত্যুর জন্য বিনোদন পার্টি দাই,এবার তরমুজ কম চাষ হয়েছে,দেখুন এই ভয়কটের প্রভাব যাতে নিজের উপর না পড়ে। বয়কট করুন তবে কাকে বয়কট করবেন বুঝে করুন। কৃষক দেরকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করুন। নয়ত এর খেসারত আপনাকে আমাকেই দিতে হবে।
নরসিংদী জেলার বারৈচা বাজারের আশেপাশের এলাকাগুলো সবজী উৎপাদনকারী এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর হাজার হাজার মেট্রিকটন সবজী উৎপাদন করে সারা বাংলাদেশের চাহিদা পূরন করে থাকে। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে কিছু ভিন্ন চিত্র। বেগুন ৫ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ৪/৫ টাকা অন্যান্য সবজীর একই অবস্থা যা থেকে কৃষক ভেন ভাড়া ও ওঠাতে পারছে না। বাধ্য হয়ে কৃষক তার শখের সবজী বাগান কেটে ফেলছে। কেউ আবার নদীর ধারে ফেলে দিচ্ছে আবার কেউ কেউ জমি থেকে সবজী তুলছে না।
ফলে তারা হয়ত আগামী বছর সবজী চাষ না করে অন্য কিছু করবে।
আলটিমেটলি আগামী বছর বাজারে সবজীর যোগান কমে যাবে। আর অন্যদিকে চাহিদা মোতাবেক সবজী না পেয়ে সবাই কয়েক গুন বেশীদাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হবে।
আসল কথা হচ্ছে বাজার দর নির্ধারন করার ক্ষমতা কৃষকদের হাতে নেই। বাজার দর নির্ধারন করে কতিপয় দালাল ও সিন্ডিকেট গোষ্ঠী।
আজ বারৈচা বাজারে বেগুন ৫ টাকা কেজি লাউ ৪/৫ টাকা পিস হলে ও আপনি অন্য কোথাও খুব বেশী কম দামে কিনতে পারবেন না। দালাল ও সিন্ডিকেট গোষ্ঠী ঠিকই ফয়দা লুটতেছে। কৃষকরা দেনার দায়ে চোখের পানি ফেলছে। কেউ তাদের পাশে নেই।
তাই আসুন দালাল ও সিন্ডিকেট গোষ্ঠীকে বয়কট করি। দেশের মেরুদণ্ড কৃষকদেরকে নয়। যতটুকু সম্ভব সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করি। তাদেরকে অধিক উৎপাদনে উৎসাহিত করি।
সরকারের কাছে আমার অনুরোধ কৃষকদেরকে সরাসরি ভোক্তার কাছে পন্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। দালাল ও সিন্ডিকেট গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নয়ত এ দেশের কৃষক বাঁচবে না। দেশের সাধারন মানুষ ও ভালো কিছু খেতে পাবে না।।
কৃষি প্রেমিক আব্দুস সালাম