শাহপরীরদ্বীপে বিজিবির অভিযানে ৮কেজি অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) উদ্ধার
জামাল উদ্দীন – কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ২০কোটি ৯৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৮কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় শামসুল আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন,টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নের নির আহমদের ছেলে শামসুল আলম (৩৫)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৩ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ পশ্চিম দিকে শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া এলাকা দিয়ে চোরাচালানী মালামাল পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়া এলাকায় গমন করে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে একটি বস্তা নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়ার দিকে আসতে দেখলে পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী ব্যক্তি মিলে যাওয়ায় টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে ঘেরাও করে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত ব্যক্তির হাতে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে একটি বালতি থেকে বিক্রয় নিষিদ্ধ ৮কেজি ৩৯৮ গ্রাম অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি ৯৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কক্সবাজারে পরীক্ষা করে অ্যাম্বারগ্রিসের বৈশিষ্ট্য এবং সনাক্ত সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য, উক্ত অ্যাম্বারগ্রিসে সিনথেটিক পদার্থের মিশ্রণের দ্বারা প্রমানিত হয় যে, অ্যাম্বারগ্রিস চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাচার করে চোরাকারবারী যে কোন ভাবে গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এছাড়াও আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে অ্যাম্বারগ্রিসের চালান তৃতীয় পক্ষের নিকট বিক্রির চেষ্টা করে।
তিনি আরো জানান,উক্ত অ্যাম্বারগ্রিস কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা করে আটককৃত আসামীকে মোবাইল ফোনসহ তার বিরুদ্ধে অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের বমি) অবৈধভাবে নিজ হেফাজত রাখা ও চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।