টেকনাফে আওয়ামী লীগ নেতাসহ একই পরিবারের তিনজন অপহরণ ৮ ঘন্টাপর উদ্ধার
জামাল উদ্দীন কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে একই পরিবারের তিনজনকে অপহরণ করেছে অপহরণ কারীচক্রের সদস্যরা। রাতে পাহাড়ীএলাকায় ধান ক্ষেতে পাহারা দিতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তারা। অপহৃতরা হচ্ছে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোছনী গ্রামের আশরাফ জামানের পুত্র নীর আহমেদ ৬০, হাবিবুর রহমান (৫৫) ও তার ছেলে নুর ফয়েজ (১৩)। তারা একই পরিবারের সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর রাত তিনটার দিকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলী অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোছনী গ্রামের বাসিন্দা নীর আহমেদ, হাবিবুর রহমান ও তার কিশোর ছেলে নুর ফয়েজ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এপিবিএন এর অফিসের পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে ধান ক্ষেতে পাহারা দিচ্ছিলেন। এসময় ভোর রাত তিনটার দিকে একদল দূর্বৃত্ত তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে।
উল্লেখ্য যে, অপহৃত হাবিবুর রহমান গেল ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছিলেন। সে একজন এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি
এদিকে, অপহরণের শিকার হওয়ায় মোছনী এলাকার জনগন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা মোছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চলাচলের রাস্তায় বিক্ষোভ করছে।
এতে এলাকার জনগন অংশ গ্রহন করে অবিলম্বে অপহৃতদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ৯নং ওয়ার্ড একই পরিবারের ৩ জন অপহরণ হয়েছে শুনলাম হাবিবুর রহমান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এদিকে এলাকার চেয়ারম্যান রাশেদমাহমুদ আলীর নির্দেশে স্থানীয় জনসাধারণ এলাকায় বিক্ষোভ করে রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে এলাকাবাসীর সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মুখেএক পর্যায়ে অপহরণ কারীরা পালিয়ে যেত বাধ্য হয়।পরে এলাকাবাসী তাদের কে ৮ ঘন্টাপর তাদের আস্তানাথেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি অপহরণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেহাই পাচ্ছে না ছাত্র, শিক্ষক, রাখাল, দিন মজুর, এনজিও কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। শুধু স্থানীয়রা নই, অপহরণের শিকার হচ্ছে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারাও