টেকনাফে থানা ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি নেতৃত্বে অভিযানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন,আটক -৬
জামাল উদ্দীন -টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার টেকনাফ টমটম ছিনতাই করতে চালক মোস্তাককে খুন করে গলায় বালি ভর্তি বস্তা বেঁধে কায়ুকখালী খালে ভাসিয়ে দেওয়া ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে মাস্টার মাইন্ডসহ ৬জন আসামি গ্রেফতার এবং ছিনতাই হওয়া টমটম উদ্ধার করেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,চলতি বছরের গত ৩মার্চ বিকাল ৫টা হতে ৬মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের পরস্পর যোগসাজসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বস্তায় বেঁধে টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ ছোট হাজির বাগান কায়ুকখালী খালে পাওয়া যায়। মৃতদেহ পোস্টমর্টেম শেষে দাফন করা হয় এবং টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-১৯/১৩৬, তারিখ-১০/০৩/২০২৪ইং দায়ের করা হয়।
এই হত্যাকান্ডের ক্লু বের করার জন্য কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল মোঃ রাসেল পিপিএম-সেবা এর তত্ত¡াবধানে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনির নেতৃত্বে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সমন্বয়ে টমটম চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা গুরুত্বের সাথে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ কার্যকরী অভিযান চালিয়ে ক্লু উদঘাটনে নামে। মামলা তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়া হতে প্রথমে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামী ফরিদ আহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় টমটমটি জনৈক আব্দুর রহিম ও আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়ার নিকট হতে ক্রয় করেছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল এর নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এসআই সনজীব কুমার পাল ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মার্ডার মামলার মাস্টার মাইন্ড মোঃ আব্দুর রহিম (১৯) ও আব্দুল আমিন পুতিয়া (১৬) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের টমটম গাড়ীটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামী ওমর ফারুক (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা যায়,ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী আব্দুর রহিম টেকনাফ উপরের বাজার মন্দিরের সামনে হতে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ ৪নং ওয়ার্ড ৩ রাস্তার মোড়ে জগিরের বাড়ীর পাশে নিয়া যায়। সেখানে আসামী আবদুর রহিম লোহার রড় দিয়ে প্রথমে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামী আব্দুর রহিম ও পূর্ব থেকে সেখানে অবস্থান করা আব্দুল আমিন পুতিয়া মিলে ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের নিকটবর্তী খালি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে কাঁধে করে খাল পাড়ে নিয়ে একটা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর কাঁদা মাটি ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়। যা ধৃত আসামীরা আদালতে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর এই ধরনের নৃশংস ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গণি এই তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানান, টেকনাফ উপজেলার যাবতীয় অপরাধ দমনে পুলিশ বিশেষ পরিকল্পনায় কাজ করছে। ###
জামাল উদ্দীন -টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার টেকনাফ টমটম ছিনতাই করতে চালক মোস্তাককে খুন করে গলায় বালি ভর্তি বস্তা বেঁধে কায়ুকখালী খালে ভাসিয়ে দেওয়া ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে মাস্টার মাইন্ডসহ ৬জন আসামি গ্রেফতার এবং ছিনতাই হওয়া টমটম উদ্ধার করেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,চলতি বছরের গত ৩মার্চ বিকাল ৫টা হতে ৬মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের পরস্পর যোগসাজসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বস্তায় বেঁধে টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ ছোট হাজির বাগান কায়ুকখালী খালে পাওয়া যায়। মৃতদেহ পোস্টমর্টেম শেষে দাফন করা হয় এবং টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-১৯/১৩৬, তারিখ-১০/০৩/২০২৪ইং দায়ের করা হয়।
এই হত্যাকান্ডের ক্লু বের করার জন্য কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল মোঃ রাসেল পিপিএম-সেবা এর তত্ত¡াবধানে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনির নেতৃত্বে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সমন্বয়ে টমটম চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা গুরুত্বের সাথে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ কার্যকরী অভিযান চালিয়ে ক্লু উদঘাটনে নামে। মামলা তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়া হতে প্রথমে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আসামী ফরিদ আহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় টমটমটি জনৈক আব্দুর রহিম ও আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়ার নিকট হতে ক্রয় করেছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল এর নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এসআই সনজীব কুমার পাল ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মার্ডার মামলার মাস্টার মাইন্ড মোঃ আব্দুর রহিম (১৯) ও আব্দুল আমিন পুতিয়া (১৬) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের টমটম গাড়ীটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামী ওমর ফারুক (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা যায়,ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী আব্দুর রহিম টেকনাফ উপরের বাজার মন্দিরের সামনে হতে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ ৪নং ওয়ার্ড ৩ রাস্তার মোড়ে জগিরের বাড়ীর পাশে নিয়া যায়। সেখানে আসামী আবদুর রহিম লোহার রড় দিয়ে প্রথমে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামী আব্দুর রহিম ও পূর্ব থেকে সেখানে অবস্থান করা আব্দুল আমিন পুতিয়া মিলে ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের নিকটবর্তী খালি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে কাঁধে করে খাল পাড়ে নিয়ে একটা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর কাঁদা মাটি ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়। যা ধৃত আসামীরা আদালতে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর এই ধরনের নৃশংস ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গণি এই তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানান, টেকনাফ উপজেলার যাবতীয় অপরাধ দমনে পুলিশ বিশেষ পরিকল্পনায় কাজ করছে।