দীর্ঘ ৯ বছর পরে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ।
খালিশপুর থানা প্রতিনিধি ঃ কাজী রায়হান তানভীর সৌরভ, এর তথ্যচিত্রে দেখুন বিস্তারিত ।
নেতৃত্বশূন্য মহানগর ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে
দীর্ঘ নয় বছর পরে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটি গঠনের সংবাদে প্রাণ ফিরেছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের, শুরু হয়েছে লবিং’। আনাগোনা বেড়েছে দলীয় কার্যালয়ে। কর্মসূচিতে বেড়েছে উপস্থিতি।সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃনমূল কর্মীরা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এর যৌথ স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) আহবান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ন সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে আবেদন জমা পড়েছে। নেতৃত্ব প্রত্যাশিদের সিভি জমাদানের শেষ তারিখে ১শ’৯৭ জন নেতৃত্ব প্রত্যাশি সিভি জমা দিয়েছেন।
সিভি জমাদানকাবিদের মধ্যে রয়েছে বিবাহিত ও
খুনের মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি, এছাড়া দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার কারনে আবেদনকারিদের মধ্যে অনেকের-ই ছাত্ররাজনিতীর বয়স নেই। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৫ সালের ৬ জুন। ৩২৫ সদস্যের কমিটির অধিকাংশই এখন ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় নেই।
সভাপতি: শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন,
যুবলীগের পদ পেয়েছেন সাড়ে ৪ বছর আাগে। আড়াই বছর আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ – সম্পাদক হয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
আসাদুজ্জামান রাসেল।
জানা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে বর্তমান সহ-সভাপতি মাসুদ হোসাইন সোহান, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, রনবীর বাড়ৈ সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাহমুদুর রহমান রজেশ, এম এ হোসাইন সবুজ ও সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
রুমান আহম্মেদ আবেদন করেছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে অগ্রহী খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক
সোহান হোসেন শাওন, ইবনুল হাসান, বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
নিশাত ফেরদৌস অনি, শেখ শাহরিয়ার রহমান রাহুল, বায়েজিদ সিনহা।
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
আসাদুজ্জামান রসেল বলেন
খুলনা মহানগরী ছাত্র রাজনীতির উর্বর ভূমি। এখানে শীর্ষ পদে ১৯৭ জন পদ প্রত্যাশি সিভি জমা দিয়েছেন।
এটি দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার প্রতিফলন।
এবারের কমিটিতে
ত্যাগিদের মূল্যায়ন করা হবে। কোন অছাত্র ও বিতর্কিতরা জায়গা পাবে না, বিগত দিনগুলোতে বিশেষ করে নির্বাচনে যাদের সক্রিয়তা ছিলো তারা মূল্যায়িত হবে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন জাচাই-বাছাই ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কমিটি দেওয়া হবে।