টেকনাফে এপিবিএন ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত-১৪ জন
জামাল উদ্দীন -কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিকেট খেলার বল আনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন এর সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এতে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ ১১ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে ।
সোমবার( ৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টারদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংয়ের রইক্ষ্যং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্থানীয়রা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যংয়ের আবুল কাসেম,আবুল হোসেন, মো. শরিফ,রোকেয়া বানু,আছিয়া খাতুন,ছেনুয়ারা বেগম, মাইন উদ্দিন,মো বেলাল উদ্দিন,জয়নাল আবেদিন,দেলোয়ারা বেগম,রিনা আক্তার।
আহত স্থানীয় তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত এপিবিএন সদস্যরা হলেন,কনস্টবল
মো. দেলোয়ার, রনি ও রবিউল হাসান, বিষয়টি নিশ্চিত করেন এএসআই নুরুন্নবী।
জানা গেছে,উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ২০/২২ জন সদস্য ক্যাম্পের কাঁটাতারের বাহিরে রইক্ষ্যং এলাকার পাশের জমিতে ক্রিকেট খেলছিলো। এ সময় তাদের ক্রিকেট বলটি গ্রামের পাশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাম্প ও ক্ষেতের মধ্যে উড়িয়ে গিয়ে পড়ে। পরে এপিবিএনের সদস্যরা একজন রোহিঙ্গাকে কাঁটাতারের উপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে বলটি আনার জন্য পাঠালে, স্থানীয় বেলাল উদ্দিনের সাথে কথা -কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলালকে মারধর করে টেনেহেঁচড়ে এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়। এসময় এপিবিএনের ২০-৩০ জন সদস্য ক্রিকেট ব্যাট ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে হামলা চালিয়ে স্থানীয় নারী-পুরুষসহ ১১ জনকে আহত করে ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রাম্য ডাক্তার নুরুল কাশেম বলেন, খেলার একটি ছোট বলকে কেন্দ্র করে এপিবিএনের ২০/৩০ জন সদস্য এসে স্থানীয়দের উপর ক্রিকেট ব্যাট,স্টাম্প দিয়ে ব্যাপক হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছে।
এঘটনায় ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ বিকালে রইক্ষ্যং ক্রিকেট খেলার মাঠে স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এপিবিএন পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। এতে করে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে তিনি বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি।