চট্টগ্রামে দুর্ঘটনাস্থল থেকে মূহুর্তে মোটর সাইকেল উধাও,থানায় অভিযোগ।
-----------------------
মোঃহাসানুর জামান বাবু,চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম মহানগরী বহদ্দারহাট থেকে লালখান বাজারে মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভারটির নাম আখরুরজ্জামান ফ্লাইওভার।দুপুর ১২টায় ঐ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে চাদগাঁও আবাসিক এলাকার নিজে বাসা থেকে মাদারবাড়ী নিজ অফিসে মোটর চাইকেল চালিয়ে আসছিলেন পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের বড় ছেলে সোয়াইবুল ইসলাম তৌকির (২৮)।ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলেন এমন প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে একই দিক থেকে আসছিলেন সাদা রঙের একটি কার,কারটি তৌকিরের মোটর চাইকেল বারবার ওভারটেকিং করতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে কারটি ওভারটেকিং করেই চলে যাইতে চাইলে মোটর সাইকেল আরোহী তৌকির তার সাইডে আর যাওয়ার জায়গা নাপেয়ে শেষমেশ ২নং গেইট ও জিইসি এর মধ্যেবর্তী স্হানে ফ্লাইওভারের রেলিং এর সাথে জোরে ধাক্কা গেলে মোটর সাইকেল সহ তৌকির গুরুতর আহত হয়ে ফ্লাইওভারের উপর লুটে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তৌকির যখন রক্তাক্ত অবস্হায় পড়েছিলো তখনও মোটর সাইকেলের ইঞ্জিল চলছিলো এবং মূহুর্তে সেখানে অনেক মানুষ জমায়েত হয়।
মোটরসাইকেল কে ধাক্কা দেওয়া সাদা কারটি ততক্ষণে দ্রুত গতিতে চলে যায় কেউ কারটি সনাক্ত করতে পাড়েনি।এরমধ্যে কয়েকজন পথচারী তৌকিরকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সিএনজিতে তুলে।এতোটুকুতে সর্বচ্চো পনের মিনিট সময়।আহত তৌকির কে হাসপাতালে দেওয়ার আগে যারা হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা তার মোটরসাইকেলটি হেফাজতের নেওয়ার জন্য বন্ধ করে সাইডে রাখতে খুঁজতে গেলে দেখেন ঐখানে পড়ে থাকা মোটর সাইকেল নাই,ঐ মোটর সাইকেল নাম্বার চট্ট মোট্রো ল-১৭-৯৮১৫।ততক্ষণে জড়োহওয়া পথচারীর মধ্যে কে বা কারা দ্রুত চালিয়ে নিয়ে যায়।
আহত তৌকিরকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় মেডিকেল সেন্টার ভর্তি করা হলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল এর কোন খদিস পাওয়া যায়নি।এই ব্যাপারে আহত তৌকির এর পিতা সাবেক চেয়ারম্যান জেলা শ্রমিকদল সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলামে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমরা কোন দেশে বাস করছি? একজন মানুষ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রক্তাক্ত অবস্হায় রাস্তায় ফেলে রেখে তার মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় আমি রীতিমত হতভাগ হয়ে গেছি।এসব চোর ডাকতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে আমি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সহ পাচঁলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সর্বচ্চো সহায়তা কামনা করছি।
তিনি বলেন আমি ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেই মোটরসাইকেল উদ্ধারের ব্যাপারে পাচঁলাইশ থানায় সাধারণ ডায়রি করতে গেলে কর্তব্যরত অফিসার জানান জিডি নিয়ে পারবোনা নিয়ম নেই।তারপর উনাদের কথামতো একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।কিন্তু অভিযোগ জমা নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোন রিসিভ কপি দিতে অপারকতা জানান।রিসিভ ছাড়াই আমার একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছেন পাচঁলাইশ থানার ওসি তদন্ত।উনি ঐ ব্যাপারে তদন্তপূরক ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরে আমি মিডিয়া কর্মী পরিচয়ে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবের ০১৭২১-৬৭৭২৫৬ এই নাম্বারে ফোন করলে উনি প্রথমে বলেন এই ব্যাপারে আমি কিছুই তো জানিনা এবং আমাকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার কোন দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। আবার বলেন আমাদের পাচঁলাইশ থানায় আরেকজন মোস্তাফি আছে উনার সাথে যোগাযোগ করেন।এরপর আমার মোবাইল কেটে উনি আবার উনার একই নাম্বার থেকে বাদীর ভাইকে ফোন করে ঘটনাস্থলে একজন লোক পাঠাতে বলেন।তখন আমি বাদীর ভাই তৌকিরের ভাইও বাদীর পিতা শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান পাশাপাশি বসা ছিলাম।
এখন মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় পাচঁলাইশ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান কেন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে চাচ্ছেননা সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।