পাঁচবিবির বড়মানিক ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকোয় ভোগান্তিতে পার হচ্ছেন জনগন ও যানবাহন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম পাশের মানুষের চলাচলের প্রধান সেতু,ছোট যমুনা নদীর উপর সেতুর কাজ দ্রুত শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিমাঅঞ্চল জনগণ।
পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক ছোট যমুনা নদীর উপরের সেতু পাঁচবিবি শহরের সাথে ধরন্জী ও আয়মা রসূলপুর ইউনিয়নের প্রধান সেতু এই সেতুর উপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার মঙ্গলবাড়ি,ধামইরহাট সহ আশেপাশের জনগণের চলাচল করে।
গত কয়দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ও অন্যান্য আর্বজনা সাঁকোর খুঁটিতে আটকিয়ে
তীব্র স্রোতে খুঁটির নিচের মাটি সরে যাওয়ার কারনে কাঠের ব্রিজটির মাঝখানে দেবে গেছে । এছাড়া স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ও আবর্জনা খুঁটিতে আটকিয়ে আরো ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে বিকল্প সাঁকোটি । এতে করে সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে বলে মনে করছেন পথচারীরা।
জানা যায়,ব্রিজটি চলাচলের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলে এবং চলতি বছরের শুরুতে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ৯০.০৬ মিটার দৈর্ঘ্য নতুন ব্রীজ নির্মাণ শুরু করেন। ব্রিজ নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ, ভ্যান-রিক্সা ও মটরসাইকেল ও পারাপারের সুবিধার্থে, কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেন।
একারণে জন সাধারণের চলাচলে ঝুঁকি হয়ে পড়েছে সাঁকোটি। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কয়েকজন শ্রমিক সাঁকোয় আটকে থাকা কচুরিপানা ও আর্বজনা অপসারণ করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ সামিন সারার ফুয়াদ বলেন বর্তমানে টানা বর্ষনে কাঠের ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে যত দূত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা চলছে বেশি স্রেত হওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বেলি ব্রীজের জন্য উপর মহলে চিঠি দিয়েছি।
মোঃ আমজাদ হোসেন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি