গণধর্ষণের পর হত্যা,ধর্ষিতার লাশ কবর থেকে উত্তোলন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর!
তুষার কবিরাজ ডুমুরিয়া প্রতিনিধি।।
ডুমুরিয়ায় গণধর্ষণের পর হত্যা ও ধর্ষিতার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ।
আদালতের অনিমুতি ক্রমে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে উপজেলার রোস্তমপুর এলাকায় মামলার বাদী ও ভিকটিমের পিতা সুরোত আলি শেখের পারিবারিক কবর স্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয় ।
এর আগে গত বুধবার ৪ সেম্পেটম্বর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মামলায় আসামি ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৬ খুলনা।
মামলা সুত্রে জানাযায়,গত ২ আগস্ট উপজেলার রোস্তমপুর এলাকার সুরোত আলি শেখের মেয়ে জুলেখা খাতুন (১৮) নামের এক যুবতীকে সন্ধ্যায় জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ওড়না দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে বুড়িভদ্রা নদীর চরে নির্জন পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে রাতভোর গণধর্ষণ করে হত্যা করে একদল দূর্বৃত্ত।
পালাক্রমে গণধর্ষণের পর ঘটনা স্থলে ভিকটিমকে হত্যা করা হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ৬ আগষ্ট পাটক্ষেত থেকে অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন দাফন সমপন্ন করে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৪ সেম্পেটম্বর রাতে চুকনগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চাকুন্দিয়া গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে পেশাদার চোর মাদক কারবারি ইমরান হুসাইন গাজী (৩০) চুকনগর সদরের শংকর ফকিরের ছেলে যুবলীগ কর্মী রাম ফকির (২৫) ও মিন্টু ফকির (২৬) সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গত ২ সেম্পেটম্বর ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ কে অজ্ঞাত আসামী করে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ডুমুরিয়া থানায় দায়ের কৃত মামলায় অপর আসামিরা হলো-সবুজ (২২) আসাবুর রহমান আশিক (২৬), বাবু মোড়ল (২২) ইমন সরদার (২২)। কিন্তু তারা এখনও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ওসি তদন্ত শাহিনুর রহমান জানান গণধর্ষণের হত্যার শিকার ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি ক্রমে কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগ কতৃক ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।