ব্রীজ নির্মাণ এর কাজ,
৬ মাস যাবৎ আটকে আছে ,চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দু উপজেলার জনগণঃ
মোঃ সায়েব আলী বিশেষ প্রতিনিধি
পাইকগাছা খুলনাঃ
ব্রীজ নির্মাণ এর কাজ,
৬ মাস যাবৎ আটকে আছে ,চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দু উপজেলার বাসিন্দারা, পাইকগাছা ও তালার ব্রীজের সংযোগ সড়কের,
পাইকগাছা -তালা উপজেলার সংযোস্থল কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মাণের ২ বছরে কাজ ৫ বছর পর শেষ হয়েছে। এদিকে জমি অধিগ্রহণ না করায় সড়ক নির্মানের কাজ ৬ মাস যাবৎ আটকে আছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দু উপজেলার বাসিন্দারা।
খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছার কাটিপাড়া বাজার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারী সড়কে ২০১৯ সালে ব্রীজ নির্মাণের কার্যাদেশ হয়। পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া ও তালা উপজেলার খেরশা এলাকার সীমন্ত এলাকা কপোতাক্ষ নদের উপর চলতি বছর ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যার চুক্তিমুল্য ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ টাকা। ২ বছরের কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে ৫ বছর। যার চেইনেজ ১২৬০ মিটার,দৈর্ঘ্য ১৪৫ মিটার প্রস্থ ৫০ মিটার ও পিএসসি গার্ডার। এদিকে জমি অধিগ্রহণ না করায় সংযোগ সড়কের নির্ন্মাণ কাজ ৬ মাস যাবৎ আটকে আছে। ব্রীজের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় জন দুর্ভোগ মারাত্মক বেড়েছে। ব্রীজটি হয়ে আছে ঠুটোঁ জগন্নাথ। পার্থ সারথী দাসের জমির উপর দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ করতে চান। কিন্তু জমি অধিগ্রণ না করে সরকারী বিধি বহির্ভূত ভাবে এ অহেতুক দাবী জমির মালিক মানতে রাজী নন। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দাবী করছে সরকারী জায়গা দিয়ে রাস্তা করছে। পার্থ সারথীর লীজ ঘের মালিক রমজান আলী বলছেন,এখানে কোন খাজ জমি নেই। তারা জোরপু্র্বক আমার জমির মালিকে জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা করতে চান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউর ট্রেডার্সের প্রোপাইটার লিটু জানান,জায়গা না পেলে সড়কের কাজ করা সম্ভব হবেনা। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শোয়েব শাফিন বলেন,এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবহিত করা হয়েছে। তালা উপজেলার খেশরার অংশের ১৩০ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।কিন্তু পাইকগাছার কাটিপাড়া অংশ ১৪৫ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়া জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। খুলনা-৬ সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান জানান,বিষয়টি অবগত হওয়া মাত্রই সমাধানের জন্য রাড়ুলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মজিদ গোলদারকে সমাধান করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আ. মজিদ গোলদার জানান, বিয়ষটি নিয়ে দু'পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তবে যেহেতু জমি অধিগ্রহণ না করে অন্যের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে হলে সরকারী বিধি মোতাবেক করতে হবে।