আপনার সাহায্যে আমিরুল ফিরে আসতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে ,সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
শ্রী নিত্যানন্দ মহালদার চীফঃ
যে বয়সে তার আর দশজন সমবয়সীর ন্যায় কলেজ ক্যাম্পাস মাতিয়ে রঙিন স্বপ্নে বিভোর থাকার কথা। সে বয়সে কোন রকম হামাগুড়ি দিয়ে স্বপ্ন দেখে কবে স্বাভাবিক ভাবে অন্যদের মত চলা-ফেরা করতে পারবে। বলছি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মো: এনায়েত গাজীর ছেলে মো: আমিরুল ইসলাম (২২) এর কথা। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস! ডাক্তারের ভূল চিকিৎসা তাকে এখন প্রতিবন্ধীতায় পরিণত করেছে। মাত্র ৭/৮ বছর বয়সে মাঠে খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে ডান হাটুতে চোট পায় সে। এর পর শুরু হয় তার হাঁটু ফোলা রোগ। স্থানীয় ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে ফল না পাওয়ায় নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অপারেশন করা হয় হাঁটুতে। ডাক্তাররা বলেন, হাঁটুতে পানি জমেছে। মূলত: অপারেশনের পর থেকেই শুরু হয় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের শিরা-উপ-শিরার সমস্যা। ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে দু’ হাত-পায়ের শিরা সমূহ। পায়ের হাটু বড় ও তার নিচের অংশ চিকন হতে থাকে। হাত দুটো চিকনের পাশাপাশি আঙ্গুলগুলো বাঁকা হতে শুরু করে। বর্তমানে চলাফেরা পর্যন্ত বন্ধ হতে চলেছে। ডাক্তাররা বলছেন, দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ্য হতে পারে সে। তবে তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই তাদের। ইতোমধ্যে দেশে চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা তাদের। আমিরুলের পিতা এনায়েত একজন শ্রমজীবি। তার দু’ভাই ইট-ভাটা শ্রমিক। আর মা’ গৃহিনী। বড় দু’ভাই আলাদা সংসার পাতলেও ছোট ভাইয়ের চিকিৎসায় কার্পণ্য নেই তাদের। তবে সকলেই এখন সর্বশান্ত। ইতোমধ্যে একভাই ভাটা শ্রমিক শাহিনুর রহমান কষ্টার্জিত টাকায় ছোট ভাইকে ভারতে উন্নত চিকিৎসা করাতে পার্সপোর্ট-ভিসা করেছেন। তবে এখনো জোগাড় হয়নি যাতায়াতসহ চিকিৎসা খরচের টাকা। সেকারণে তারা এখন সকলের সাহায্য প্রার্থী।
আমিরুলের পিতা এনায়েত আলী গাজী ও মা জরিনা বেগম জানান, এখন সংসার বড় হয়েছে। বড় দু’ছেলে আলাদা সংসার পাতলেও ছোট ভাইয়ের চিকিৎসায় কার্পণ্য নেই তাদের। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তারা। তবে এখন তাদেরও বেহাল অবস্থা। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সেখানে ছেলেকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মত অবস্থা নেই কারোরই। তাই বাধ্য হয়েই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। তাই ড. ভূপেন হাজারিকার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে আমরাও বলছি- মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা! ও –বন্ধু..!অথবা, বেবি নাজনীনের কন্ঠের একটি টাকা দাওনা ও ভাই একটি টাকা দাওনা—। এক শ’ টাকা, পাঁচ শ টাকা হাজার টাকা চাইনা। সমাজের এমন কেউ কি আছেন ফুঁটফুটে আমিরুলের সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসতে চিকিৎসার জন্য ন্যূনতম সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। তাকে সাহায্য পাঠাতে পারেন, বিকাশ/নগদ নং-০১৯৬৮-০৫৭৬৫৬ নম্বরে।