উপজেলাপরিষদ নির্বাচনে পাঁচবিবির পাঁচ পুরুষ হারলেন এক বিবির কাছে
মোঃ আমজাদ হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচবিবিতে এই প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেকুন নাহার শিখা।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের ০৫ জনই হেবিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। এই উপজেলাতে ৮টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে মোট ৬৯টি কেন্দ্রে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া মার্কা প্রতিকের সাবেকুন নাহার শিখা ৩৮৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের আবুবক্কর সিদ্দিক মন্ডল ১১৭৪৭ ভোট পেয়েছেন। ২য় স্থানে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না মোটরসাইকেল প্রতীক ১১৮০০,কৈ মাছ প্রতিকে জাহিদুল আলম বেনু ৯১৭০পেয়েছেন সোহরাব হোসেন মন্ডল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০০৬ ভোট সাইদ জাফর সুমন চৌধুরী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৭৬ ভোট। পাঁচ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সবাই মিলে মোট পেয়েছেন ৩৮২৯৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেকুন নাহার শিখা একাই পেয়েছেন ৩৮৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (পুরুষ)তালা প্রতিকে আকরাম হোসেন তালুকদার ২৬৩৩২ পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী চশমা প্রতিকের ওহিদুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ২২২৮৮ ভোট। ১৩৪৪০ভোট পেয়ে ৩য় স্থানে রয়েছেন টিউবওয়েল প্রতিকে খালেকুল ইসলাম বকুল। ফরহাদ আলম জুয়েল উড়োজাহাজের প্রতীকে ১৩০২৭ ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থানে।
এছাড়াও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফুটবল প্রতিকে ভাইস চেয়ারম্যান রেবেকা সুলতানা ৩২১১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বৈদ্যুতিক পাখা রাজিনারা টুনিপেয়েছেন ১৯৯০৩ ভোট তামান্না আক্তার প্রজাপতি প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৯৬২১ ভোট এবং মৌসুমী ফুলের টব পেয়েছেন১২৩৭ ভোট। বিজয়ী প্রার্থীরা বলেন,এ বিজয় পুরো পাঁচবিবি উপজেলা বাসীর।
বিজয়ী প্রার্থীরা আরও বলেন আমরা যেন আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি। সবাই দোয়া করবেন। আর যারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছেন তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করি তারা যেনো আমাদের সাথে পাঁচবিবি উপজেলার সকল উন্নয়ন মুলক কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কেননা নির্বাচনের পড়েও আমরা সকলেই একই উপজেলার বাসিন্দা ।সকলে মান অভিমান ভুলে গিয়ে একে অন্যের ভাই ভাই হয়ে থাকতে পারি এবং সুখে দুখে আমরা যেন সবাই একসঙ্গে একে অন্যের সহযোগিতা করতে পারি এই আশা ব্যক্ত করছি।