পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে ।
মোঃহেকমত আলী মন্ডল জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড় ,,
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম, দাম ভালো পাওয়ায় বাদামের চাষ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষিরা সময়মতো দাম পাওয়ায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায় বাদামে মাঠ সবুজে ভরে উঠেছে। এ সময় কথা হয় শালডাংগা ইউনিয়নের বাদাম চাষি কালামের সাথে কথাবলে জানা যায়, এ এলাকার জমি বাদাম চাষের উপযোগী হওয়ায় অন্য ফসল চাষের চেয়ে বাদাম চাষ করে তাঁরা বেশী লাভবান বলেই বাদাম চাষ করছেন। তাঁরা আরও বলেন, বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ হতে ১০ হাজার টাকা। বাদাম উৎপাদনে সময় লাগে ৪ মাস পর্যন্ত। প্রতি বিঘায় বাদাম পাওয়া যায় ৮ হতে ১০ মণ। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার দেবীডুবা,দন্ডপাল,শালডাংগা,পামুলি ,সুন্দরদিঘি, ইউনিয়নের এবার বেপক হারে বাদাম চাষ হয়েছে । এ বছর দাম ভাল পেলে প্রায় কৃষকগণ বাদাম থেকে লাভ হবে বলে আশা করেন। গত বছর বাদামের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা। বাদামের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। চলতি মৌসুমে বাদাম মণ প্রতি ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে বলে কৃষকরা আশা করছে। উঠছেন।কৃষি অফিস সূত্রে জানা জায় এবার এই উপজেলায় ৩৭শ১০ হেক্টর জমিতে ,ঢাকা ১ এবার১৪০ হেক্টর,, বারি চিনা বাদাম ৬ -২৩৭০ হেক্ট্রর,বারি চিনাদাম ৮ , ৭৫০হেক্ট্রর ,বারি চিনাবাদাম ৯ . ৮৪০ হেক্ট্রর এছারাও সরকারি প্রনোদণার আওতায় ৬৫০ জন কৃষক কে ২০কেজি করে চিনা বামের বিজও ২০ডিওপি ৫কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিসার নাইম মোরশে জানান, বাদাম চাষে কৃষকের খরচ কম, ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় বাদাম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এজন্য বাদাম চাষে লক্ষ্যমাত্রা প্রতিবছর ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করছেন।এবার এই উপজেলায় ৩৭শ ১০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে ।