"শেখ হাসিনা দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ করেনি"
দলীয় কার্যালয় ১১ মার্চ ২০২৪ সোমবার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, 'শেখ হাসিনা দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ করেনি। তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, ফোরলেন ও এইট লেনের রাস্তা করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সংগঠন এ সংগঠনের ঐতিহ্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা কর্মীর আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে হবে। তার কোন ব্যর্তয় হলে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে তার কোন জায়গা হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি কথা প্রতিটি বক্তব্যই আমাদের পথ চলার নির্দেশনা। শেখ হাসিনা ২৪ ঘন্টার ১৮ ঘন্টা জেগে দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতে হবে। তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। সোমবার বিকাল ৪টায় জেলার দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীর পরিচালনায়, আলোচনায় অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ ছালাম, মোস্তফা কামাল খোকন, এ্যাড. অধ্যাঃ নিমাই চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, এসএম খালেদীন রশীদী সুকর্ণ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তারিক হাসান মিন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, সদস্য আনোয়ার ইকবাল মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদশা, অসিত বরণ বিশ্বাস, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, বুলু রায় গাঙ্গুলী, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, শাহিনা আক্তার লিপি, অমিয় অধিকারী, আনিসুর রহমান মুক্ত, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, মোঃ জামিল খান।
নেতৃবৃন্দদের আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সভার সিদ্ধান্ত সমুহঃ
১) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রুপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলুকে সংগঠনের দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নোটিশ পাওয়ায় সাত কার্য দিবসের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তরে তার লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
০২) রুপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টিএসবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির মধ্যে অনাকাংখিত ঘটনার কারনে রুপসা উপজেলার টিএসবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউ পি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
০৩) পাইকগাছায় জাতির পিতা চত্ত্বর এবং কয়রায় নৌকা চত্ত্বরের ম্যুরাল ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এবং ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের খুজে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়। উক্ত ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
০৪) অতি উৎসাহী হয়ে নেতা কর্মী ও সমার্থকদের উপর ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রতি হিংসাবসত হয়ে নির্যাতন, হামলা, মিথ্যা মামলা দিলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন পরবর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমার্থকদের উপর হামলা, শারীরিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা হওয়ায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের নিরপেক্ষভাবে আইনী সয়হতা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
০৫) পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে উপজেলাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।