লালপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ,৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি সেই ছাত্রী
তানিয়া আক্তার
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থানরত ভেল্লাবাড়িয়া আব্দুল ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি সেই ছাত্রী।
রবিবার(৩রা মার্চ-২৪)সন্ধ্যায় ঐ স্কুল ছাত্রীর পিতা(উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিন এর ছেলে)মিজানুর রহমান সংবাদ কর্মীদের জানান,আমার মেয়ে ভেল্লাবাড়িয়া আব্দুল ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে এবং গন্ডবিল গ্রামের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে নিয়মিত ভাবে স্কুলে যাতায়াত করে।এর মাঝে আমার পাশ্ববর্তী গ্রাম ভেল্লাবাড়িয়া-রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে কালাম উদ্দিন (২৭) আমার মেয়েকে পথিমধ্যে একা পেলে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিত।এতে মেয়ে রাজি না হলে যে কোন সময় জোর পূর্বক উঠায় নিয়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিলে মেয়ে আমাকে জানায়।পরে আমি বিষয়টি নিয়ে কালাম উদ্দিন কে সুন্দর করে বুঝিয়ে সমাধান করে দিই।কিন্তু পরবর্তীতে সে আমার ও আমার মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি করার সুযোগ খুজতে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার(২৮শে ফেব্রুয়ারি-২৪)সকাল ১০ টার দিকে মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে একটি সাদা মাইক্রোবাস যোগে কালাম উদ্দিন ও একই এলাকার সবজি,ও সুজন সহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জন এসে জোর পূর্বক আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে উঠায় নিয়ে যায়।পরে আমি বিষয়টি জানার পরে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজা খুঁজি করে কোন সন্ধান না পেলে ঐদিন-ই তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।কিন্তু অভিযোগ দায়ের করা ৫ দিন হলেও আমার মেয়ে এখনো উদ্ধার হলো না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব সংবাদ কর্মীদের বলেন,আমার গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা ছিল,আমি পরীক্ষার রুমে উপস্থিত ছিলাম,এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অভিযুক্ত সুজন বলেন আমিও কিছুই জানি না,আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে।
অভিযুক্ত কালামের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাছিম আহমেদ জানান,স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পুলিশের চেষ্টা চলমান আছে।