পাইকগাছার সুন্দরবনের কোল ঘেষে গড়ইখালী গ্রামে স্মার্ট প্রযুক্তি’র মরিচ চাষে বাবু তরুণজিৎ মন্ডলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয়-অর্পনা দম্পত্তি’র ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান তরুণজিৎ মন্ডল । হোগলারচকের বাসিন্দা শিক্ষক দম্পতি সঞ্জয় মন্ডল-অর্পনা ইতোমধ্যে তাদের ৯ কাঁঠা জমির মরিচ ক্ষেত থেকে দু’দফায় ৩৯ মন বুলেট মরিচ হারবেস্টিং করেছেন। যার বিক্রয় মূল্য ১লক্ষ্য ২৭ হাজার ৯৫৫ টাকা। এটা দেখে এলাকার অনেকে মরিচ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, রবি মৌসুমে উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের হোগলারচক, কুমখালীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ হচ্ছে। ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে কৃষকরা লবন সহিষ্ণু বুলেট মরিচ ও সুপার মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। এ চাষ পদ্ধতিতে তেমন ঝুঁকি নেই,নেই রোগ বালাই। পানি সেচ কম লাগে,তাপমাত্রাও ধারণ করতে পারে। সে জন্য ফলনও খুবই ভালো হয়।
এ বিষয়ে কুমখালীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মন্ডল জানান, মূলত আমরা কৃষক পরিবারের মানুষ। শিক্ষকতার পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী’র নিজস্ব চিন্তা-ভাবনায় এ মৌসুমে ২বিঘা ৫ কাঁঠায় হাইব্রিট মরিচ সুপার ও ৯ কাঁঠা জমিতে বুলেট মরিচের চাষ করেছি। এখন কৃষি বিভাগের উপ-সহকারীরা ক্ষেত পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, ৯ কাঁঠার বুলেট মরিচ ক্ষেতে এ পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে-৩৯ হাজার ২শত টাকা।
ইতোমধ্যে দু’বার হারবেস্টিং করেছি। গত ২২ জানুয়ারি ১৪ মন ও ২১ফেব্রুয়ারিতে-২৪ মন ৩০ কেজি। যার বিক্রয় মূল্য ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৫ টাকা। এ দম্পত্তি আশা করেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ ক্ষেত থেকে এখনো ৬ বার মরিচ তুলতে পারবেন। সব মিলিয়ে বিক্রয় হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা।
এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ জানান, ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তিতে গড়ইখালীতে ৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের আবাদ করা হয়েছে আমি আশা করি কৃষক লাভবান হবে।
লবন এলাকায় মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে হোগলারচকের স্মার্ট মরিচ চাষি মলয় ও শিক্ষক দম্পত্তি সঞ্জয়-অর্পনা’র লাভ জনক মরিচ চাষ প্রযুক্তি অন্য কৃষকের জন্য উদাহরণ হতে পারে।