ডুমুরিয়ায় ইটভাটা মালিক ও ম্যানেজার কর্তৃক এক শ্রমিক সরদারকে বেদম মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠছে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার ২৬/৩/২৪ ভূক্তভোগী শ্রমিক মুসা সরদারের স্ত্রী শরিফা বেগম বাদী হয়ে ভাটা মালিক ও ম্যানেজারকে বিবাদী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমার ঘাটা গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সরদার মুসা সরদার ডুমুরিয়া সদরের ইটভাটা মালিক আব্দুল লতিফ জমাদ্দার এর মালিকানাধীন বটিয়াঘাটা থানার গজালিয়া এলাকায় অবস্হিত স্টার জেবি বিক্সস এ চারজন শ্রমিক নিযুক্তসহ নিজেও কাজ করার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এক পর্যায়ে কিছু দিন কাজ করার পর ওই চারজন শ্রমিক ইটভাটা থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তি ইটভাটা মালিক আব্দুল লতিফ জমাদ্দার ও ম্যানেজার বটিয়াঘাটা থানার গাওঘরা এলাকার সিরাজুল ইসলাম মুসা সরদার কে, পলাতক শ্রমিকদের খুঁজে এনে কাজে নিযুক্ত করতে চাপ দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকালে মুসা পলাতক শ্রমিকদের খুঁজে এনে ইটভাটায় কাজ করানোর জন্যে নিয়ে গেলে ভাটা মালিক ও ম্যানেজার মিলে মুসাকে সেখানে বেদম মারপিটসহ তাকে তুলে নিয়ে ডুমুরিয়া সদরে ভাটা মালিকের প্রতিষ্ঠান এ.লতিফ ফিলিং স্টেশনের পিছনে একটি ঘরে আটকিয়ে রেখে , হাত-পা,চোখ বেঁধে বেদম মারপিট করে আহত করে এবং জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দেয়।
খবর পেয়ে বাদী রহিমা বেগম স্বামী মুসাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বর্তমানে চিকিৎসাধিন আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ইটভাটা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভম হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তফা গাজী শ্রমিক সরদার মুসাকে মারপিটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, কোন শ্রমিক অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে মালিক পক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিলে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্ত কেউ যদি আইন হাতে তুলে নিয়ে শ্রমিককে মারপিট-হুমকি ধামকি দিলে আমরা তার প্রতিবাদ অবশ্যই করবো।
এ প্রসঙ্গে থানার সেকেন্ড অফিসার এস,আই কেরামত আলী জানান,ইটভাটা শ্রমিকের স্ত্রীর দেয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।